সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ২০০০ ইং সালে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হিসেবে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় যোগদান করেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। বিভিন্ন উপজেলায় চাকুরী করে ২০০৮ সালে বদলী হয়ে আসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল বর্তমানে সাতক্ষীরা পিটিআইতে সংযুক্ত আছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি পিটিআইতে থেকে সন্তুষ্ঠ না। তাইতো তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের দ্বারে দ্বারে শুরু করেছেন দৌঁড়ঝাপ।
তবে প্রদীপ কুমার মন্ডল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন সংবাদে ক্ষোভ বিরাজ করছে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মাঝে। এমনকি খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত অনেকেই রয়েছেন আতঙ্কে।
প্রদীপ কুমার সাতক্ষীরা অফিসে আসার পর থেকে তিনি শুরু করেন নিয়োগ বানিজ্য, বদলী বানিজ্য, ডেপুটেশন, পিএসআরএলও বানিজ্য।
তার বিরুদ্ধে একাধিকবার তদন্ত করে তার অপকর্মের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এরপর ২০১৮ সালে তাকে বদলী করা হয় শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। সেখানে যেয়েও তার ওই সকল অপকর্ম থেমে থাকেনি। বরং কারণে অকারণে মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে তুলেছেন বেতন। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললেই তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। ফলে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার শোকজ করেও কোন প্রতিকার হয়নি। বরং অজানা কারণে রক্ষা পেতেন প্রদীপ কুমার মন্ডল।
আরো জানা যায়, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারী থেকে ২ আগস্ট ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার মূল বেতন ২৭ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে অবনমিতকরণ করে ১৬ হাজার টাকা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর তাকে সংযুক্ত করা হয় সাতক্ষীরা পিটিআইতে। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভেতরেই পিটিআই এর অবস্থান থাকলেও প্রদীপ বাবু জেলা শিক্ষা অফিসের আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র দাবী করেছেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য প্রদীপ কুমার মন্ডল নানাভাবে তদবীর শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে ডিও লেটার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তিনি যখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ছিলেন তখন অফিসটাকে দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। আবারও যদি তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসেন তবে এই অফিসটাকে দূর্ণীতির আঁতুরঘরে পরিণত হবে। সীমাহীন হয়রানির শিকার হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ঠরা। সুতরাং তিনি যাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে না আসতে পারেন সেজন্য তার বিরুদ্ধে সকলের রুখে দাঁড়ানো উচিৎ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।